ইউপি সদস্যের কারসাজিতে অন্য স্থানে সেতু নির্মাণ!

চাঁদপুর, দেশের খবর

মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 19:56:09

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে নতুন সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ওই সেতুটি এক স্থানের পরিবর্তে অন্য স্থানে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দকৃত স্থানে সেতু নির্মাণ না করে অন্যত্র স্থানান্তর করায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী বলছে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সী কারসাজি ও উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের নাম ভাঙিয়ে এক জায়গার সেতু অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছেন।

জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কচুয়ার বিতারা গ্রামের বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়। যার স্মারক নং-৫১.০১.১৩৫৮.০০০.১৪.০০১.১৯-৪৫। তারিখ-২৮/০১/২০১৯। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

কাজের অনুমোদনের পর গত ৪-৫ দিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো. সুলতান আহমেদ ওই স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বেচ কাটাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু করেন। অথচ ওই সেতুটি বিতারা ডাক্তার বাড়ি-ইউনুছ মেম্বারের বাড়ির পাশে খালের উপর নির্মিত না হয়ে একই গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে হোসেন মিয়া প্রধানের বাড়ির সামনে খালের উপর নির্মিত হচ্ছে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. অলিউল্যাহ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু, মো. মিজানুর রহমান ও যুবলীগ নেতা কাউছার আলম রুবেল জানান, সেতুটি যেখানে সরকারি ভাবে অনুমোদন হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সি ওই স্থানে না করে তা অন্য জায়গায় নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। স্থানীয় বাচ্ছু মিয়া ও সাদেক মিয়ার মাধ্যমে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে।

তাদের দাবি, সরকারি শিডিউল অনুসারে যেখানে সেতু হওয়ার কথা সেখানেই নির্মাণ করা হোক।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ মুন্সি জানান, ওই গ্রামে সরকারি ভাবে দু’টি কালভার্ট সেতু হবে। এরমধ্যে একটির অনুমোদন হয়েছে, অন্যটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তবে সেতু নির্মাণের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। আমি কারো কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেইনি।’

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ জানান, এক স্থানের সেতু অন্য স্থানে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিতারা গ্রামে সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর