দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ.এফ.এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নড়াইলে মতবিনিময় সভা করেছিলাম। আজ সেদিনের মতবিনিময় সভার অনেকে নেই, আবার নতুন অনেকেই আছেন। আমার খুব ইচ্ছা ছিল এই জেলাকে দুর্নীতি মুক্ত দেখব। আমি বলছি না যে ব্যর্থ হয়েছি, তবে আমি যে আশা করেছিলাম তা পূরণ হয়নি।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি দুর্নীতি শুধু আইন করেই বন্ধ করা সম্ভব নয়। আমরা যে যেখানে আছি, সেখান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি না। আমরা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে দুর্নীতি কমে যাবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ সময় নড়াইলের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, পাসপোর্ট অফিস, এলজিইডি, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেন কমিশনার।
মতবিনিময় সভায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন, দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ার, দুদক কমিশনারের (তদন্ত) একান্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশীদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।