নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজুবলী ইউনিয়নের উত্তর বাগ্গায় স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিত নারীর শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলিছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার মেডিকেল অফিসার শাহানারা আক্তার লিপির নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নির্যাতিতা নারীর শারীরিক পরীক্ষা শেষ করেন। পরে বুধবার দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যাহ কাছে জমা দিলে তিনি নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তা প্রেরণ করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আন্তরিকতা ও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খুব দ্রুতই নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ওই নারী স্বামীর মোটরসাইকেল যোগে চরজব্বার বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে। পরে স্বামীকে আটকে রেখে তাকে পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বেচু মাঝি, ফজলু ও আবুল বাসার।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই রাতে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন নির্যাতিতার স্বামী ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।