কয়েন বিনিময়ে বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতা

মেহেরপুর, দেশের খবর

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মেহেরপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 22:38:38

এক ও দুই টাকায় এখন তেমন কোনো পণ্য পাওয়া যায় না। পয়সার সময় তো শেষ হয়েছে বেশ আগেই। এক কথায় বলতে গেলে এ দুটি মুদ্রায় এখন চকলেট, দিয়াশলাই (ম্যাচ) ছাড়া তেমন কিছুই বাজারে মেলে না। ফলে এর স্বাভাবিক ব্যবহারও কমেছে।

মেহেরপুর জেলার বাজারের দোকানগুলোতে এখন কয়েনের ছড়াছড়ি। বিপাকে পড়ছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই। প্রথমবার যার কাছে আসছে সেখান থেকে আর অন্য কারও কাছেই বিনিময় হচ্ছে না ধাতব মুদ্রাগুলোর। বাজারে এক, দুই ও পাঁচ টাকার কয়েনের বিনিময়ের পরিমাণ খুবই কম।

এদিকে ভিক্ষুকরাও এক ও দুই টাকার কয়েন নিতে চান না। এমতাবস্থায় এখনো ব্যাংক থেকে বাজারে আসছে নতুন নতুন কয়েন। এমনটি অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি সুরাহার আশায় সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তারা।

 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাদের কাছে কয়েন জমে থাকায় নগদ টাকার সংকটে ভুগছেন। অনেকের কাছে মণ মণ কয়েন জমা হয়ে গেছে। পাঁচ টাকার কয়েনের বিনিময় স্বাভাবিক হলেও এক ও দুই টাকার কয়েন কেউ নিতে চায় না। ফলে প্রত্যাহিক বেচাকেনা কার্যক্রমে কয়েন বিড়ম্বনার সীমা নেই।

এ বিষয়ে গাংনীর তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাবলুন্নবী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার বাড়িতেও অনেক কয়েন আছে। অবশ্য এর মধ্যে অনেক কয়েন বা ধাতবমুদ্রা আছে যা আমি সংরক্ষণ করছি। তবে বাড়িতে জমিয়ে রাখা কয়েন এখন আর চালাতে পারছি না।’



বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রার ইতিহাস

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ৫, ১০, ২৫ এবং ৫০ পয়সা মূল্যের ধাতব মুদ্রার প্রচলন করা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে ১ পয়সা এবং তারও পরে ১৯৭৫ সালে ১ টাকা মূল্যের ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়। অতঃপর ২ টাকা মূল্যের ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রাও প্রচলিত আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর