‘হয়েছি বন্ধুরও ভাবে, মনো তাপে বনবাসী...’, ‘তোমার আপন গলায় মওলা ডাকো, নিজের আমল ঠিক করি...’, ‘তব দয়ার মায়ায় কৃপার আশায় ধরি দু’চরণ’, ‘তব গোলাম খাতায় দাসরূপে করিও বরণ...’, ‘মাইজভান্ডারি নুর নগরী, বাবা মওলা ধন, প্রেমাগুনে জ্বালায় মারো সারাটি জীবন...’সহ বিভিন্ন মাইজভান্ডারি আধ্যাত্মিক গান বাজিয়ে গত ক’দিন ধরে দূর-দূরান্ত থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরিফে ছুটে এসেছেন লাখ লাখ ভক্ত।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় মাইজভান্ডারি ত্বরিকার অন্যতম প্রাণপুরুষ, হজরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারির ১৮৫তম ওরশ শরিফ।
ওরশকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লাখ লাখ ভক্তের অংশগ্রহণে মুখরিত ছিল ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফ।
ওরশ উপলক্ষে শুক্রবার নানা কর্মসূচি পালন করে আশেকানে মাইজভান্ডারি অ্যাসোসিয়েশন। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদ ফজর রওজা শরিফে গোসল, খতমে কোরআন, গতমে গাউছিয়া, সন্ধ্যায় হজরতের জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা সভা, রাতভর ছেমা ও মিলাদ মাহফিল, জিকির এবং তোবারক বিতরণ করা হয়। পরে বিশ্ব শান্তির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাত করেন গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন মাওলানা মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।