হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের তুতন মিয়া হত্যা মামলায় ৬ আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযুক্ত প্রমাণিত না হওয়ায় ১৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের সফর আলীর ছেলে মোশাহিদ মিয়া, একই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মোহন মিয়া, গোলাম মাওলার ছেলে জিয়াউর মিয়া, রহমান উল্লাহের ছেলে ওয়াহাব উল্লাহ, আবুল হোসেনের ছেলে চাঁন মিয়া ও দিলু মিয়া।
হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক মো. আল আমিন জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সকল আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাকদাইড় বিলে জলসুখা গ্রামের তুতন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয় লোকজন তার খণ্ড খণ্ড লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
একই বছরের ১৫ নভেম্বর তুতনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ২০ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা না করার জন্য তাকে হাত পা বেঁধে কয়েকদিন রাখা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন আনোয়ারা। পরবর্তীতে আজমিরীগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি বড়ুয়া ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ ২০ জনকেই অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।