বগুড়া শহরের মালেকা নার্সিং হোমে ভুল চিকিৎসায় হুমায়রা খাতুন নামের (৬) এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নার্সিং হোমে ভাঙচুর করেছেন শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় চিকিৎসক ও কর্মচারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে রাত ১২টার দিকে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিশু হুমায়রা খাতুন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা এলাকার হারুনার রশিদের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
হুমায়রার মামা আলমগীর হোসেন বার্তা২৪.কম-কে জানান, টনসিলের প্রদাহ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মালেকা নার্সিং হোমে নাক-কান ও গলার সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সাইদুজ্জামান পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন শিশুটিকে। তার তত্ত্বাবধানে সোমবার বিকালে হুমায়রার টনসিলে অস্ত্রপচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অস্ত্রপচারের জন্য শিশু হুমাইরাকে অজ্ঞান করার দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার জ্ঞান না ফেরায় স্বজনরা ক্লিনিকে কর্তব্যরতদের বিষয়টি জানান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হুমায়রাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন ঐ চিকিৎসক। হুমায়রাকে তার স্বজনরা সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা হুমায়রাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে হুমায়রার মরদেহ মালেকা নার্সিং হোমে নিয়ে আসলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু লোকজন সেখানে ভাঙচুর চালায়। এ সময় চিকিৎসক-সেবিকাসহ ঐ নার্সিং হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রতিষ্ঠান থেকে সরে পড়েন।
খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও রাত দেড়টা পর্যন্ত নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে আসেননি।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আব্দুর রহিম বার্তা ২৪.কম-কে জানান, হুমায়রার মামা আলমগীর হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।