জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগুয়ান, নওদা ও বালিঘাটাসহ কয়েকটি গ্রামে কাল বৈশাখী ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে তেমন কোন সহযোগিতা না পেলেও সেই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ঝড়ে বিধ্বস্ত অসহায় কৃষকরা।
জানা যায়, গত ২ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ ছোবল হানে কাল বৈশাখী ঝড়। এতে উপজেলার নওদা, বাগুয়ান ও বালিঘাটা গ্রামের ২ শতাধিক বাড়ি-ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। শিশু ও নারীসহ প্রায় ৪০ জন গ্রামবাসী আহত হওয়া ছাড়াও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঝড়ে কবলিতদের অনেকের রাত্রী যাপন হয় খোলা আকাশের নিচে। এ অবস্থায় ঘটনার পরদিন থেকে সরকারি-বেসরকারিভাবে সামান্য অনুদান পেলেও নিজের চেষ্টায় তারা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, কাল বৈশাখী ঝড়ে বোরো ধান ৩৫০ হেক্টর, করলা, বেগুনসহ অন্যান্য শাক-সবজি ২০ হেক্টর, কলা ১৫ হেক্টর,ভুট্টা ১২ হেক্টর, সজনে ও আম বাগানের ৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলার নওদা গ্রামের কুষক হাফিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার ১৭ বিঘা কলা ক্ষেত নষ্ট হওয়া ছাড়াও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আমি ৭০ হাজার টাকার ঔষধ বাকি নিয়েছি, সেই বাকির টাকা কবে কিভাবে পরিশোধ করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’
বাগুয়ান গ্রামের কৃষক আফজাল মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম বুদাসহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে তাদের ধান, কলা, ভুট্টাসহ অন্যান্য শাক-সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের এই ক্ষতি কিভাবে তারা কাটিয়ে উঠবেন এনিয়ে তারা সংশয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সুদের উপর টাকা নিয়ে জমিতে আবারো ফসল লাগানোর চেষ্টা করছেন। আবহাওয়া যদি আর বৈরী আচরণ না করে তাহলে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি সংক্রান্ত সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করা হবে।’