গত বছরের চেয়ে পটুয়াখালীতে এবার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে । ফলনও হয়েছে বাম্পার। বাজারে ভাল দাম পেয়ে লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। তবে এবার আগাম বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সারাদেশে যে পরিমাণ তরমুজের চাহিদা তার বড় একটি অংশ আসে পটুয়াখালী থেকে। ভাল চাহিদা আর দাম পেয়ে উপকূলীয় এই জেলায় তরমুজের আবাদের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। পুরো জেলায় এখন তরমুজ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।
তারা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন ব্যাপারীদের কাছে। পরে সেই তরমুজ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
সরেজমিনে জানা যায়, এবছর পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গবালী উপজেলায় সব থেকে বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে এই উপজেলার তরমুজের সুনাম কুড়িয়েছে সারাদেশে। উপকূলীয় এ এলাকার মাটি তরমুজ চাষে উপযোগী হওয়ায় ফলও হয় সুস্বাদু। তাই সারাদেশের মানুষের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে রাঙ্গাবালীর তরমুজের।
রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাড়াও জেলার গলাচিপা, কলাপাড়া, বাউফল এবং দশমিনা উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় তরমুজের আবাদ হয়েছে। এসব এলাকায় ফলনও হয়েছে ভালো।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত জানান, গত বছরের থেকে এবার পটুয়াখালী জেলায় অধিক জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর ১৩ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হলেও এবার এর আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ও হয়েছে ভাল। তবে মাঝে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হলেও বাজার দর ভালো থাকায় কৃষক লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।