ঝড়ের কবলে পড়ে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ২০/২৫ জন শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়ে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এছাড়া একই এলাকায় একটি বার্জ (নৌযান) ডুবে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় অন্তত দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন মো. শাহালম (৪৫)। তিনি ডুবে যাওয়া লঞ্চটির ক্রেন অপারেটর। তবে বার্জডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে চ্যানেলের বেসক্রিক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝড়ের কারণে ওই এলাকায় অবস্থানরত পানামা পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজ এমভি স্কোপোসের সাথে আকতার নামক একটি লঞ্চ ধাক্কা খায়। এতে লঞ্চটি ফেটে গিয়ে ডুবে যায়। এ সময় ৪/৫ জন শ্রমিক ও কর্মচারী সাঁতরে চ্যানেলের কূলে সুন্দরবনে উঠে আশ্রয় নেন। বাকিরা বিদেশি জাহাজটিতে উঠতে সক্ষম হন।
শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খুলনা ট্রেডার্সের ম্যানেজার মো. মাসুদ কবির জানান, লঞ্চে যারা ছিলেন তাদের প্রায় সবাই কূলে ও জাহাজে উঠতে পেরেছেন। তবে একজনের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চের শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্ধার করতে মোংলার লেবার জেটি থেকে নীলকমল-০২ নামক একটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে গেছে। নীলকমল লঞ্চের মালিক ও শ্রমিক সরদার মো. বাবুল বলেন, নিখোঁজ থাকার ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের রেডিও অপারেটর মো. সৈয়দ আহম্মদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আরো খোঁজ-খবর না নিয়ে নিখোঁজের ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, প্রায় একই সময় একই এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে এমবি হারড্ডা নামক একটি বার্জ (নৌযান) ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের রেডিও অপারেটর মো. সৈয়দ আহম্মদ বলেন, বার্জের এক কর্মচারী নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।