ফেনীর সোনাগাজী থেকে: টানা পাঁচদিন পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর কাছে হার মানলেও সোনাগাজী ইসলামীয়া মাদরাসার সেই ভবনে এখনো রয়ে গেছে নুসরাতের অগ্নিদগ্ধ চিহ্ন। নৃশংস এ আগুনের ঘটনার ৬ দিনেও ভবনের সিঁড়ি ও ছাদে দেখা মিলেছে নুসরাতের পুড়ে যাওয়া পায়ের চিহ্ন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মাদরাসার সেই তিনতলা ভবনের সিঁড়ি ও ছাদ ঘুরে দেখা যায়, সিঁড়িতে নুসরাতের পুড়ে যাওয়া পায়ের ছাপ। এছাড়া পুড়ে যাওয়া শরীর থেকে ঝরে পড়া মাংসের টুকরোও পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদরাসার তিনতলা এ ভবনের দো-তলায় রয়েছে অধ্যক্ষের কার্যালয়। যদিও সেই কক্ষটি তালাবন্ধ রয়েছে। ঠিক তার ওপরের ছাদেই (৬ এপ্রিল) নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জীবন বাঁচানোর জন্য শরীরে আগুন নিয়ে নামার সময় ভবনের সিঁড়িতে ছাদে অগ্নিদগ্ধ শরীরের ছাপ পড়ে। সেই ছাপগুলো এখনো স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান হয় নুসরাতকে। ৮০ ভাগ পুড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে তার এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরা নুসরাতের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নুসরাতের লাশ দাফন করা হবে বলে পারিবার সূত্রে জানা যায়।