নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে দুই সন্তানের জননীকে রাতভর আটক রেখে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার মধ্যরাতে সোনাইমুড়িরর বারগাঁও ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে পুলিশ তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্যাতিতা নারী নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ আমিনুল ইসলাম ও নিজাম উদ্দিন নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফাতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার নারীর চাচা গোলাম কবির জানান, গত মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নাটেশ্বর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হলেও রাতে বাড়ি ফিরেননি ঐ নারী। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুধবার সকালে সোনাইমুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দৌলতপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বর্তমানে নির্যাতিতা নারী অনেকটা অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা নারী শারীরিকভাবে অসুস্থ্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা বলেন, ‘এই ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার সোনাইমুড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’