ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা ইউপির ছাতিয়া থেকে দূর্গাপুর পর্যন্ত এক হাজার মিটার সড়ক কার্পেটিং এর কাজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিয়ত গাফিলতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়ার ওমর আলীর বাড়ি থেকে দূর্গাপুর সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের টেন্ডার পায় মের্সাস ভুইয়া এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাপেটিং করার উদ্দেশে সড়কের বিভিন্ন অংশে মাটি উত্তোলন করে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে।
ফলে বর্তমানে ধুলাবালি, খানাখন্দের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে আগলা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতার কারণে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এছাড়া ছাত্র, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষকে প্রতিদিন কাদা, পানি পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
ছাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, `রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারছে না ফলে প্রতিনিয়ত লেখাপড়ায় বেঘাত ঘটছে।’
ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাস্তাটির এই বেহাল দশা বলে বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছেন আগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে নবাবগঞ্জ ও দোহারে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হলেও আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া থেকে দূর্গাপুর পর্যন্ত সড়ক নির্মানে বিলম্ব করছে মের্সাস ভুইয়া এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে বর্তমানে কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারে না। সড়কে বিভিন্ন অংশে পানি ও কাদা জমে থাকায় পায়ে হেঁটে পার হওয়াও কষ্টকর।
এ ব্যাপারে জানতে মের্সাস ভুইয়া এন্ড ব্রাদার্স এর কর্ণধার তোফাজ্জল ভূইয়াকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিডি) প্রকৌশলী আনোয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দ্রুত কাজ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিলেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হবে।’