নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জেও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। এতে করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পণ্যবাহী দুই শতাধিক জাহাজ আটকা পড়েছে আশুগঞ্জ বন্দরে। পাশাপাশি বন্দরের ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি নৌ-রুটের ১৪ উপজেলায় যাত্রীবাহী লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
কর্মবিরতিতে লঞ্চ, বাল্কহেড, তেলবাহী ট্যাংকার, বালুবাহী নৌকা, লাইটার জাহাজসহ সকল প্রকার নৌযান শ্রমিকরা একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্য নিয়ে আসা প্রায় দু’শতাধিক কার্গো জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জের সঙ্গে দেশের পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি নৌ-রুটের ৫ জেলা সিলেট, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৪ উপজেলার লঞ্চ যোগাযোগ। এতে করে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করতে না পারায় আশুগঞ্জ নৌবন্দরের ৫ শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে নদীবন্দরের সকল প্রকার কার্যক্রম। পাশাপাশি পণ্য খালাস করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের শ্রমিক মো. কাইয়ুম মিয়া বলেন, ‘সকালে কাজে এসে জানতে পেরেছি আজ কর্মবিরতি চলছে। তাই অলসভাবে বসে আছি। আমাদের প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক আজ অলস সময় পার করছে।’
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক এ.কে.এম হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, নৌযান শ্রমিকরা ১১ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারা দেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আশুগঞ্জেও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। ন্যায্য দাবি মানা না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে পূর্বাঞ্চলীয় কার্গো মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. নাজমুল হোসাইন হামদু বলেন, ‘জাহাজ বন্ধ থাকলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।’