মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন ওলিয়ার। আর তা বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন। তিন ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী মিলে ৫ জনের সংসার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এভাবেই চলছে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও শেখাচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, যশোরের ছাতিয়াতলা গ্রামের বাসিন্দা ওলিয়ার রহমান। স্ত্রী, এক ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার তার। প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বিভিন্ন গাছ বা বাসা-বাড়িতে মৌমাছির চাক কেটে মধু সংগ্রহ করেন। সেই মধু বিক্রি করে যে অর্থ আয় করেন তাই দিয়েই চলে তার সংসার।
ওলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমি প্রায় ৩০ বছর যাবৎ মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। মৌচাক কেটে মালিকদের অর্ধেক আর আমি অর্ধেক নিয়ে থাকি। প্রতি কেজি মধু ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি। এতে করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করি। এর থেকে প্রতিদিনের খরচ বাদে যা থাকে তা সঞ্চয় করে রাখি ভবিষ্যতের জন্য।’
মধু ক্রেতা মহিষখোলা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, ‘মৌমাছির চাকের মধু সব সময় পাওয়া যায় না। এখন সবকিছুতে ভেজাল থাকে। তবে ওলিয়ারের কাছ থেকে ভেজালমুক্ত মধু কিনলাম।’
কুড়িগ্রামের বাসিন্দা হাফিজুল করিম নিলু জানান, বাজারের ব্যবসায়ী দোকানগুলোতে যে মধু পাওয়া যায় তাতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য দেয়া থাকে। যা ক্ষতিকারক। আর চাকের খাঁটি মধু শরীরের জন্য উপকারী।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মশিউর রহমান বাবু বার্তা২৪.কমকে জানান, খাঁটি মধু মানুষের সর্দি-কাশি দূর করে। এছাড়া শক্তিবৃদ্ধিসহ শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। আর ভেজাল মধু মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।