লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকানপাট বন্ধ রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ফজুমিয়ার হাটের মো. রিপন নামে এক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফজুমিয়ার হাটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেননি। তবে ওই বাজারে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানান। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সফিক উল্লাহ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, ফজুমিয়ার হাটে আবুল খায়েরের থেকে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে কনফেকশনারির ব্যবসা করে আসছেন রিপন। সম্প্রতি খায়ের তাকে দোকানটি ছেড়ে দিতে বলে। বাজার পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে দোকান ভাড়া বাড়িয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়। ওই সময় বকেয়া টাকাও পরিশোধ করে দেন রিপন। কিন্তু বাজার পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে দোকানঘর মালিক থানায় অভিযোগ করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঘর মালিক থানায় অভিযোগ করলে রিপনকে কমলনগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রশিদ দেখা করতে বলেন। কিন্তু রিপন থানায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ এসে রিপনের জামার কলার ধরে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে মারার জন্য লাঠি নিয়েও তেড়ে আসে। এ সময় বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় পুলিশ।
ব্যবসায়ী রিপন বলেন, ‘দোকানের ভাড়া নিয়ে বাজার পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। বকেয়া টাকাও পরিশোধ করেছি। তারপরও পুলিশ দিয়ে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে।’
আবুল খায়ের জানান, রিপন দোকানের ভাড়া সময় মতো দিতেন না। এতে কয়েক মাসের ভাড়া বাকি রয়েছে। বাজার কমিটি ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে বললেও রিপন সবগুলো টাকা দেননি। উল্টো তাকে হুমকি দেয়ায় রিপনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ জানান, পুলিশের এএসআই রশিদ এসে রিপনকে লাঞ্ছিত করেছে। বাজার কমিটি ও ইউপি চেয়ারম্যানকেও গালমন্দ করেছে ওই পুলিশ। ভাড়া নিয়ে বাজার কমিটি রিপন ও আবুল খায়েরের বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছে। এরপরও পুলিশের এসব করা ঠিক হয়নি।
কমলনগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রশিদ বলেন, ‘খায়ের থানায় রিপনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে। পরে দু'জনকেই থানায় আসতে বলা হয়। কিন্তু রিপন আসেনি। কেন আসেনি তা জানার জন্য তার দোকানে গিয়েছি। এ সময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। এমনকি গালমন্দও না।’