ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে আট করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে রুহুল আমিনকে আটক করা হয় বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ, মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন মাদরাসাটির আলিম পরিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি। এই ঘটনায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা ৬ এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।
পরে ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত। তার বান্ধবীকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ পেয়ে ছাদে যান নুসরাত।
সেখানে মুখোশ পরা চার থেকে পাঁচ জন নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ফেনী থেকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
নুসরাতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এই ঘটনায় তার মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ এখন কারাগারে আছেন।