মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ঋণ গ্রহীতাকে আটকে রেখে মারধর করেছে আম্বালা ফাউন্ডেশনের এনজিও কর্মীরা। এ ঘটনার পর ওই গ্রাহককে উদ্ধার করে চার এনজিও কর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আম্বালা ফাউন্ডেশনের চর সাটুরিয়া কার্যালয় থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহককে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আম্বালা ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান (৪০), সাটুরিয়া শাখা ম্যানেজার মারুফ (৩১), সাটুরিয়া শাখার ক্রেডিট অফিসার সাগর (২৬) ও এন্টারপ্রাইজ অফিসার মাহবুব (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের বড় পয়লা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মো: নজরুল ইসলাম (৩৪) আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাটুরিয়া শাখা থেকে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর মাসিক কিস্তিতে ২ বছর মেয়াদী ২ লক্ষ টাকা ১৪ শতাংশ জমির দলিল ও কয়েকটি খালি চেক দিয়ে ঋণ গ্রহণ করেন।
প্রথমে ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করলেও সম্প্রতি আর্থিক অনটনের কারণে কয়েক মাসের কিস্তি বাকি পরে নজরুলের। পরে বুধবার আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাটুরিয়া শাখায় আসলে তাকে আটক করে মারধোর করে এনজিওর কর্মীরা।
ঋণ গ্রহীতা মো: নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম' কে জানান, ২ লক্ষ টাকা নেবার পর এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এনজিওতে তার ২০ হাজার টাকা সঞ্চয় ও ৭ হাজার টাকা ডিপিএস আছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জমা রাখা জমির কাগজ নিতে আসলে টাকা দাবি করে। পরে আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাটুরিয়া শাখায় তাকে তালা দিয়ে রুমে আটকে রেখে মারধর করে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
আম্বালা ফাউন্ডেশনের সাটুরিয়া শাখার ম্যানেজার মারুফ জানায়, ঋণ গ্রহীতা সকালে না দুপুরে সাটুরিয়া শাখায় আসলে তাকে রুমে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আর ঋণ গ্রহীতাকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ম্যানেজার মারুফ।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ঋণ গ্রহীতাকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত ৪ এনজিও কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।