নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরআমান উল্যা ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী শ্যামল মজুমদার পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বপন মার্কেট এলাকার রাখাল মজুমদারের বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দিপু রানী মজুমদার চট্টগ্রামের সন্দীপের কালাপানি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছিপক মজুমদারের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দেড়/দুই মাস আগে সুবর্ণচর উপজেলার স্বপন মার্কেট এলাকার রাখাল মজুমদারের ছেলে গাড়ি চালক শ্যামল মজুমদারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপু রানীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির লোকজন তাদের কক্ষের মধ্যে পরনের কাপড় দিয়ে ঘরের আড়ির সঙ্গে দিপুর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে জানায়।
নিহতের ভাই শিমুল মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের সময় শ্যামলের পরিবারকে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও বিভিন্ন সময় শ্যামল ও তার বাবা-মা আরও টাকার জন্য দিপুকে মারধর করতো। এসব বিষয় নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা দিপুকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। কিন্তু তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।’
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।