১৭ বছরেও মেরামত হয়নি কালির বাজারের সেতুটি

গাইবান্ধা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-11 16:58:23

ভোট আসলে নেতাকর্মীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়, নানা প্রতিশ্রুতি দেন তারা। নির্বাচিত হলে আর দেখা মেলে না তাদের। এভাবে চলে গেছে ১৭ বছর। নির্মাণ হয়নি কালির বাজারের ভেঙে পড়া সেতুটি। ফলে বাঁশের সাঁকোই এখন এলাকাবাসীর ভরসা।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কালির বাজার এলাকার সোনারের ভিটা নামকস্থানের একটি নালার উপরে ছিল সেতুটি। প্রায় ১৭ বছর আগে বন্যায় সেটি ভেঙে যায়। এর পর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করে আসছেন। এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন শহরে যাওয়ার একমাত্র পথ এই বাঁশের সাঁকো।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘সেতুটি পুনর্নিমাণের অভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ১৭ বছর আগে ঐ স্থানে একটি সেতু ছিল। পরবর্তীতে বাঁসের সাঁকো তৈরি করলেও বছর অন্তর ভেঙে য়ায়। সাঁকো মেরামতের অনুদান আসলেও ভাগ-বাটোয়ারায় কোনো রকমে মেরামত করে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতেই চলাচল করছে এলাকাবাসী।

সেতুটির পাড়েই কালির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হয়ে পড়তে আসে ঐ পাড়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে তাদের নিত্যদিনকার দু:খ-দুর্দশার সাথে ক্ষোভ জমাট বেঁধে আছে।

কালির বাজার এলাকার খন্দকার শাখাওয়াত হেসেন বলেন, ‘যোগাযোগের পথ না থাকায় এলাকার উৎপাদিত কাঁচামাল ও খাদ্যশস্য সঠিক সময়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হয় না। ফসল বিক্রি করতে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে।’

গিদারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ইদু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর