গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের মানুষ। সব থেকে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে। কোথাও একটু প্রশান্তি পেতে গাছের ছায়া কিংবা খোলা জায়গায় অনেককেই বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
এছাড়া গরম থেকে বাঁচতে পথের ধারে ডাব কিংবা শরবত খেয়ে অনেকেই একটু প্রশান্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে।
পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের নৌযান শ্রমিক নুর আলম বলেন, ‘সকাল থেকে গরমের কারণে লঞ্চে করে আসা পণ্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে পারিনি। এখনো যে গরম তাতে রাস্তায় নামলে মনে হয় হাত পা পুড়ে যাবে। ঘামের কারণে জামা-কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। কোথাও একটু বাতাস নাই।’
এদিকে গরম থেকে বাঁচতে শহরের বিভিন্ন পুকুর এবং দিঘিগুলোতে শিশু-কিশোরদের গোসল করতে দেখা গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে থেকে তারা নিজেদের শীতল রাখার চেষ্টা করছে। অনেকেই আবার পুকুরে দল বেঁধে বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ওয়ারলেস সুপারভাইজার মাহবুবা সুচি জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় পটুয়াখালী জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
তবে কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং বেশি করে পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।