পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা হয় চানাচুর, নষ্ট দুর্গন্ধযুক্ত তেল দিয়ে ভাজা বিস্কুট আর পচা ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় কেক। চোখ কপালে উঠার মতো কথা হলেও এমনটাই হচ্ছে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অবস্থিত একটি বেকারিতে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মিরপুর বাজারের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত গাউছিয়া বেকারিতে অভিযান চালিয়ে এমন দৃশ্য দেখতে পান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল’র একটি অভিযানিক দল।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি ও র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে এ অভিযান। এ সময় ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাব জানায়, মিরপুরের গাউছিয়া বেকারিতে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় সেখানে তারা গাড়ির পোড়া মবিল দিয়ে চানাচুর ভাজছে। এছাড়া নষ্ট ডিম দিয়ে বিস্কুট তৈরি করছে। পরে সেখানে থাকা নষ্ট কেক, কেক তৈরির জন্য রাখা পচা ডিম ভেঙে ফেলা হয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত নষ্ট তেল, বিস্কুট, কেক, পোড়া মবিল দিয়ে ভাজা চানাচুর, তেলের সঙ্গে মিশ্রিত পোড়া মবিলও নষ্ট করা হয়। এ সময় বেকারির মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া পচাবাসি খাবার ও নষ্ট দই রাখার দায়ে নতুন ব্রিজ এলাকার বারাকা রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার, মিরপুর আরামবাগ রেস্টুরেন্টকে পচা সবজি ও মাছ রাখার দায়ে ২০ হাজার, নষ্ট, পচাবাসি খাবার বিক্রি করায় জিসান বাংলা বেকারিকে ২০ হাজার ও মিরপুর আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি জানান, অনেকগুলো সংস্থা রমজানকে সামনে রেখে প্রতিদিনই খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও অতিলোভী ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থ বজায় রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছে। পচাবাসী খাবার সাধারণ মানুষকে খাওয়াচ্ছে। অনেক রেস্টুরেন্টে বিএসটিআই অনুমোদনহীন খাবার রেখে প্রতারণা করছে মানুষের সঙ্গে।
তিনি আরও বলেন- ‘রমজানকে সামনে রেখে প্রতিদিনই এ অভিযান চালানো হবে।’