গরমে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

ঢাকা, দেশের খবর

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট সাভার বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 08:09:29

বৈশাখের শুরুতে প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। দিনভর রোদের প্রখরতায় অতিরিক্ত গরমে নাভিশ্বাস উঠছে জনজীবনে। ফলে পানি স্বল্পতায় ভুগে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া, কলেরা, হেপাটাইটিস, আমাশয়, টাইফয়েডসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে করে সাভারের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় বাড়ছে ।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকদের পরিবারের শিশুসহ বয়স্করা বেশি বিপাকে পড়েছে ।

এদিকে অতিরিক্ত রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেননা সাভারের গেন্ডা, রাজাশন, ইমান্দিপুর, আনন্দপুর এবং আশুলিয়ার গাজিরচট, নরশিংহপুর, ঘোষবাগসহ বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার রোগীদের নির্ভরতার প্রতীক কেবল এই দুটি হাসপাতাল।

আশুলিয়ার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি শিশু স্মৃতির মা সাহিদা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চার বমির সঙ্গে পাতলা পায়খানা শুরু হলে গত শুক্রবার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন চিকিৎসক। কিন্তু পরবর্তীতে আবারো অসুস্থ হওয়ায় আজ নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে আমার বাচ্চাকে ভর্তি করা হয়েছে।’

নারী ও শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, ভ্যাপসা গরমের কারণে প্রতিদিন তাদের হাসপাতলে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শিশু ও বয়স্করা চিকিৎসা নিতে আসছেন। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে শিশুর শরীরে লাল লাল দাগও দেখা দিচ্ছে। এর সঙ্গে গরমে ঘেমে এক ধরনের অ্যাজমা ও পেটের নানা রোগ দেখা দিচ্ছে।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমজনিত কারণে নানা রোগে উদ্বিগ্ন না হয়ে সন্তানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ বা ফুটন্ত পানি, ফলমূল খাওয়াতে হবে। এছাড়া নরম পোশাক, ঘেমে গেলে দ্রুত মুছে ফেলার ব্যবস্থা ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ছাতা ব্যবহার করতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত বয়সের শিশুদের বুকের দুধই দিতে হবে। একই সঙ্গে খিঁচুনি দেখা দিলে, বারবার বমি বা পাতলা পায়খানা হলে, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর