নীলফামারী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অফিস সহায়ক পদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা সংরক্ষণ না করে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেওয়ায় জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তি এবং ওই পদে পুনঃনিয়োগের দাবি জানিয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এই দাবিতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৪ এপ্রিল নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ১৭ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রশাসন। চতুর্থ শ্রেণিভুক্ত এ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সন্তানদের ছেলে-মেয়েদের ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি। বরং মুক্তিযোদ্ধা কোটার পাঁচটি পদের মধ্যে তিনটি পদ সাধারণ কোটা থেকে পূরণ করা হয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলে নীলফামারী সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিটি অফিস সহায়ক পদের বিপরীতে ১৫-২২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করে সাধারণ কোটা থেকে পদ পূরণ করা হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্দিষ্ট পদ সংরক্ষণ করে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের নীলফামারী সদর উপজেলা কমান্ড ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার বাবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল ইসলাম, বংকু বিহারী রায়, বিশু দেব রায়, শ্বশী মোহন রায়, অমুল্য রতন, হানিফ, আব্দুল মালেক, কেবারতুল্লাহ সহ নীলফামারী সদরসহ জেলার ডিমলা, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা।