কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রতিবন্ধী একটি পরিবারের বাড়ির চারপাশ বাশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। এ ঘটনা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানাজানি হলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুমা আরেফিন ঘটনাস্থলে এসে পরিবারটিকে মুক্ত করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামে।
ওই গ্রামের মৃত টেংরা মামুদের চার ছেলের মধ্য আব্দুল বারী প্রতিবন্ধী। স্ত্রী মারা গেছেন প্রায় ১০ বছর আগে। ভাই এবং প্রতিবেশীর সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে নিয়ে পৈত্রিক বসত ভিটায় বাস করে আসছিলেন। ওই বসত ভিটায় পৈত্রিক সূত্রে অংশীদার তার ভাইয়ের ছেলে আশমত অলী। তার দাবি সেখানকার তিন শতক জমির মালিকানা তার। তার কাছ থেকে ওই তিন শতক জমি কিনতে চান প্রতিবেশী হাফেজ মেকারের ছেলে নজির হোসেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হলে প্রতিবন্ধী আব্দুল বারী তিন শতকের স্থলে অন্যখানে পাঁচ শতক জমি বিনিময় করেন। নজির হোসেন বেশি টাকার বিনিময়েও ওই জমি কিনতে না পারায় প্রতিবন্ধীর বাড়ির চারপাশ বাশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে প্রতিবন্ধী পরিবারটি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুমা আরেফিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ফেসবুকে ঘটনাটি দেখে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাকে পদক্ষেপ নিতে বলেন। আমি বিবাদী পক্ষ ও গ্রামবাসীকে বলে প্রতিবন্ধী পরিবারটির চলাচলের জন্য রাস্তার অংশটুকু খুলে দেই। সঠিক কাগজপত্র নিয়ে তাদের আসতে বলেছি। জমির কাগজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।