পটুয়াখালীর সমগ্র উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব এবং সম্ভাব্য ক্ষয় ক্ষতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সদস্যরা কাজ করবেন।
শেখ হাসিনা সেনানিবাসের প্রতিনিধি মেজর আতাউর বলেন, 'আটটি উপজেলায় চারটি ক্যাম্পের মাধ্যমে ৫০০ জন সেনা সদস্য উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনায় কাজ করবেন।'
বৃহস্পতিবার (২ মে) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি ২য় দফায় প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে দপুর সাড়ে ১২টায় জেলা পর্যায়ে এ সভায় শুরু হয়।
জেলা প্রশাসক জানান, নগদ ১০লক্ষ টাকা ও ১৮৭ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। এছাড়াও ২৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ আছে। সিপিপির ৬৫২৫ জন, ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ১০০জন, স্কাউট ৩০০জন, রেড ক্রিসেন্ট ৫০জন ও বেসরকারি এনজিও কর্মীরা সংকেত প্রচারে কাজ করছে। জেলা তথ্য অফিসের সৌজন্যেও সংকেত ও করণীয় প্রচার করা হচ্ছে।
এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, জেলার আটটি থানা ও পাঁচটি তদন্ত কেন্দ্র এবং গ্রাম পুলিশ দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় কাজ করবে।'
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র বলেন, 'বেড়িবাঁধের বাহিরের লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঝড়ে গাছ পড়লে তা কাটার জন্য আধুনিক দুটি কাটার ও শুকনা খাবার মজুদ করা হয়েছে।'
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়ত উদ্দিন বলেন, 'আমরা শিশু ও নারী, গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসব। তাহলে অন্যান্যরা নিজ থেকেই আসবে।'
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ ফিরোজ আহম্মদ জানান, জেলায় পাঁচটি স্টেশনের সকল সদস্য ও ১০০ জন কমিউনিটি ভলান্টিয়ার প্রস্তুত। সকল ইকুইপমেন্ট ও গাড়ি প্রস্তুত রাখ হয়েছে।
কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি বলেন, কোস্টগার্ড সিজিবেইস অগ্রযাত্রায় চারটি আট সদস্যের টিম, এছাড়াও আউটপুট চারটি স্টেশন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিটি ইউনিয়নে পাঁচজনের টিম, এক লক্ষ ২০ হাজার খাবার স্যালাইন, ১লক্ষ ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট, ১০০০ ও ৫০০ এমএল ৩০০ কলেরা স্যালাইন ও যাবতীয় ঔষধসহ মোট ১১১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে।'
জেলা খাদ্য বিভাগের খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, তাদের আটটি এলএসডিতে গুদামে ১৪ শাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য সংরক্ষিত আছে। এগুলো নিরাপদে রাখতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ৩৯১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এছাড়াও গবাদিপশুর জন্য মাটির কেল্লা নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়াও কৃষি শস্য, মৎস্য সম্পদ ও প্রাণী সম্পদ রক্ষায় আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় স্কাউট, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ও রেডক্রিসেন্ট, র্যাব কমান্ডার, কোস্টগার্ড প্রতিনিধিসহ সকল সরকারি দফতরের প্রধানগণ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।