শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলার সঙ্গে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দ্বীপান্তরে বন্দী হয়ে পড়েছেন ভোলার ২০ লক্ষাধিক মানুষ।
এর প্রভাবে শুক্রবার (৩ মে) সকালে বরিশালে ৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না ভোলার সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী।
তবে বিষয়টি নিরসনে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের বরিশালে পৌঁছানো অথবা পৌঁছানো সম্ভব না হলে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় জেলায় নগদ ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪০৪ মেট্রিকটন চাল ও ২৫ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার, গভীর নলকূপ উঁচুকরণ, উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য জলযান ও ৬৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করতে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোতে মাইকিংসহ নানা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা এবং উপজেলায় ৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।