ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে এলোমেলো বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। প্রচণ্ড গরম ও গুমোট ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলি যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে। কয়েকস্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পানি উঠতে শুরু করেছে।
শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেখানে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে। ১৩৭টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন খুলে রাখা হয়েছে। আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন মোট ১১৬টি মেডিকেল টিম এখন মাঠে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) চার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের কর্মী বাহিনী, যুব কেন্দ্রের সদস্যরা কাজ করছে। পৃথকভাবে পুলিশও মাঠে রয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কীভাবে সবচেয়ে কম ক্ষতি হয় সে বিষয়ে কাজ করছে। ফায়ার ব্রিগেড, কোস্ট গার্ড, আনসার সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সব উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সাতক্ষীরার ১৩শ জনপ্রতিনিধি তাদের নিজ অবস্থান থেকে ফণী মোকাবিলায় সাধ্যমতো কাজ করছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিং করে এসব তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। সকল এলাকায় লাল পতাকা তুলে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করার কাজ চলছে।’