ঘূর্ণিঝড় ফণীর সতর্কতায় স্থানীয় প্রশাসনের চেষ্টায় ভোলার ৪২ হাজার ৪০ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্র সংকট থাকায় নেককেই এখনো আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে খাবারের সংকট রয়েছে বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ মে) রাত ১০টার দিকে ভোলার চর নিজাম ও ঢালচরসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি ২ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার সঙ্গে সকল চরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে।
অশ্রয়কেন্দ্রে এসে এখনো কোনো খাবার পাননি বলে বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন চর নিজামের জেলে মঞ্জুর আলম। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি তবে এখনো খাবার পয়নি।’
চর নিজামের শরিফুল আলম ফরাজি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘যেভাবে জোয়ারের পানি আসছে তাতে আমরা খুবই ভয়ে আছি। রাত পোহালে আমাদের ভাগ্যে কি জুটবে। কেননা অতিরিক্ত পানি উঠলে আমাদের অশ্রয়কেন্দ্র ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই। আমরা এই চরে মানুষ আছি ৫ হাজার আর অশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা হবে ৫০০-৬০০ মানুষের।’
এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় নগদ ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪০৪ মেট্রিকটন চাল ও ২ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা এবং উপজেলায় নয়টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ২০ লাখ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ভোলায় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৬৫৭টি। যার ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৫ লাখ।
আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।