ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন-নূর নাহার (৩৫), মজিবুর রহমান (৩০), আসাদ মিয়া (৪৫), সুমন মিয়া (৭), মহিউদ্দিন (২২) ও রুবেল দাস (২৬)।
শুক্রবার (৩ মে) দিনভর বৃষ্টিতে পৃথক বজ্রপাতে জেলার পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়ায় বাড়ির পাশের রাইসমিলে ধান ভাঙাতে গিয়ে বজ্রপাতে উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের হালিম উদ্দিনের মেয়ে নূর নাহার ও একই গ্রামের ইন্তাজ উদ্দিনের ছেলে মজিবুর রহমানের মৃত্যু হয়। আর বাড়ির সামনের জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের মৃত আয়েছ আলীর ছেলে কৃষক আসাদ মিয়া।
মিঠামইনে হাওর থেকে গরু আনার সময় উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া ও ধান কাটার সময় বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন মারা যান।
এছাড়া ইটনায় হাওর থেকে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাসের।
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।