ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার (৩ মে) গভীর রাত থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। রাতে বৃষ্টিপাত হলেও শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে বৃষ্টি ছাড়াই শুধু দমকা হাওয়া বইছে।
রাতের ঝড়ে মোংলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কানাইনগর, কাটাখালী, সুন্দরতলা, জয়মনি, চিলা এলাকার বেশ কিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে রাত থেকে বন্দর ও পৌর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া শনিবার সকালে জোয়ারে পশুর নদীতে পানির উচ্চতা ও চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কানাইনগর বেড়িবাঁধটি ভাঙতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাঁধের কয়েকটি জায়গায় বড় ধরনের ভাঙন ধরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই সকল ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে পড়লে কয়েকশ পরিবার পাব্লিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান।
এদিকে শহরতলীর কানাইনগর আশ্রয় কেন্দ্রসহ জয়মনি এলাকার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে শনিবারও দুর্গতদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।