ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ভোলায় ঘর-বাড়ি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় ঘর চাপা পড়ে রানি বেগম নামের একজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, ঝড়ের সময়ে উড়ে গেছে শতাধিক ঘর। আহত হয়েছে অন্তত ৮০ জন। ঝড়ে আহত অনিক জানান, উদ্ধার কিংবা চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে কোন সহযোগিতা তারা পান নি।
বিউটি বেগম নামে আহত এক মহিলা জানান, গতকাল রাতে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে তালা বদ্ধ দেখে ফিরে এসে ঘরে থাকতে গিয়ে দুর্যোগের শিকার হয়েছেন।
নিহত রানি বেগমের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তবে আহতদের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তাহের জানান, বর্তমানে বিধ্বস্ত ঘরগুলোর নারী পুরুষ বৃদ্ধসহ সহস্রাধিক মানুষ খোলা আকাশের নিচে না খেয়ে আছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আশ্রয় কেন্দ্র খোলার দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া বহু গাছপালা, বিদ্যুতের পোল ভেঙে পড়ায় কোনো কোনো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সদর উপজেলায় ৯৩টি ঘর সম্পূর্ণরূপে এবং ১৭৪টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আপদ কালীন সময়ে থাকা খাওয়াসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।