ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জয়পুরহাট জেলায় বোরো ফসলসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (৫মে) বিকেল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হয়। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে তলিয়ে গেছে ফসল। পাশাপাশি জলাবদ্ধতায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ ।
সরেজমিনে জানা যায়, ভারী বর্ষণ হওয়ায় বেশির ভাগ ধানক্ষেতে পানি জমে গেছে। অনেক মাঠে কেটে রাখা ধান এখন পানির নিচে। এছাড়াও জেলার নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের ধান চাষি নজরুল ইসলাম বলেন,‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে ধান কাটতে পারিনি। তিন বিঘা পাকা ধানের জমিতে পানি জমেছে। আমাদের মাঠে অনেকের ক্ষেতের ধান নুয়ে পড়ায় ধানের ফলন কম হবে।
একই কথা জানান আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম, কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামের কৃষক আব্দুল করিমসহ জেলার অনেকে। তারা বলেন, ‘উঁচু-নিচু সব জমিতেই পানি জমেছে। অনেকের ক্ষেতের ধান এখনো কাঁচা-পাকা, ধান কাটতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। এ সময় আকস্মিক ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের ধান গাছের গোড়া থেকে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া পাটক্ষেত, শাক-সবজি ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, জেলায় এবার ৭২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধান চাষ হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে পাট শাক-সবজি অন্যান্য ফসল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণসহ কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে কৃষি বিভাগ।