নড়াইলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত চার মাসে ১০টি হত্যাকাণ্ডসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়, খুলনা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ এসব ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও অধিকাংশ আসামি রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৮ এপ্রিল সকালে নড়াইলের লোহাগড়ায় শারোল গ্রামে লিকু শেখ (৪৫), ২৭ এপ্রিল নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে সৈয়দ মিজানুর রহমান (৫০), ২৬ এপ্রিল রাতে নড়াইল সদর উপজেলার শালিখা এলাকায় ডাবলু শেখ (৪৮), ৮ এপ্রিল নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আজিজুর রহমান ওরফে কটাই শেখ (৪৫), ৭ মার্চ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা, ১৮ মার্চ নিখোঁজের দুইদিন পর নড়াইলে সাব্বির মোল্যা (১৪) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও গত ১৫ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি এক ভ্যান চালক। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৯ মার্চ নড়াইল সদর উপজেলার তারাশি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাম সিকদারকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিনে নড়াইলের লোহাগড়ায় অজ্ঞাত নারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৬ জানুয়ারি নড়াইলের নড়াগাতিতে ফাতেমা আক্তার (২২) নামে একজনকে হত্যা করে বড় ভাই রিপন মোল্যা। ৪ জানুয়ারি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সারোল গ্রামের বৃদ্ধা হাজেরা বেগম (৯৫) নামে এক জনকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পুলিশের পক্ষে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসন করা সম্ভব নয়। এ জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে পুলিশ জেলার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।