জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একছার আলী নামের এক রিকশাচালককে ডাকাতি মামলায় পুলিশ চালান দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। রোববার (৫ মে) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে জামিন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাহালু উপজেলার পাতানজো গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাদের বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে তাদের চাচার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে কাহালু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন ও ব্রজেশ্বর বর্মন তার বড় ভাই একছার আলীকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে একছার আলীর প্রতিবেশীরা থানায় গেলে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে এসআই হেলাল উদ্দিন। পরে বিষয়টি কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র জানতে পেরে থানায় যোগাযোগ করেন একছার আলীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু থানা থেকে জানানো হয় একছার আলীর বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পরদিন একছার আলীকে পুরাতন একটি ডাকাতি মামলায় চালান দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কাহালু থানা পুলিশ দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের যোগসাজশে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তার ভাইকে ডাকাতি মামলায় চালান দিয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরিদ উদ্দিন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, একছার আলী পেশায় রিকশাচালক। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি তো দূরের কথা গ্রামে মুরগি চুরির অভিযোগও নাই।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ হাসান রঞ্জুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কাহালু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরে কথা বলছি বলে ফোন বন্ধ করে রাখেন। তবে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন,আমি সবে মাত্র থানায় যোগদান করেছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। ভুল ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) মোকবুল হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন,সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। তদন্ত করে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।