লক্ষ্মীপুরে কামরুন নাহার পলিন নামে এক কলেজ শিক্ষিকাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কলেজ শিক্ষিকার স্বামী নাজিম উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
জানতে চাইলে বুধবার (৮ মে) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের আইনজীবী মো. ইউসুফ চৌধুরী বলেন, কলেজ শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিতে আদালতে সার্চ ওয়ারেন্ট আবেদন করা হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য কুমিল্লা সদর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। এতে অভিযুক্তদেরও আগামী ২৭ জুন আদালতে হাজির করার জন্য বলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সের কুমিল্লা সদর শাখার অফিসিয়াল কর্মকর্তা হামিদুর রহমান, গৃহবধূর ভাই ফরহাদ আহমেদ ও মা সামছুন নাহার। তারা কুমিল্লা কান্দিরপাড়ের শাসনগাচা এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে সদর উপজেলার চরমন্ডল গ্রামের নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর সদরের দত্তপাড়া হামদর্দ কলেজের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহারের বিয়ে হয়। এরপর থেকে নাজিম ও পলিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর এলাকা ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। ওই বাসায় পলিনের ভগ্নিপতি প্রায়ই আসতেন। এতে নাজিম বাধা দিলে তাদের মনোমালিন্য বাধে। গত ১৫ এপ্রিল রিপনের অনুপস্থিতে হামিদ এসে পলিনকে নিয়ে যায়। এ সময় টাকা পয়সা ও মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নাজিম।
পরে স্ত্রীকে ফেরত আনতে নাজিম কুমিল্লার কান্দিরপাড়ের শাসনগাচা এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে স্ত্রীর খোঁজ পাননি। উল্টো পলিনের ভগ্নিপতি হামিদুর রহমান, ভাই ফরহাদ আহমেদ ও মা সামছুন নাহার তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
নাজিম উদ্দিন বলেন, হামিদ আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে নিয়ে গেছে। এখন আমার স্ত্রী কোথায় আছে, কিভাবে আছে, কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। তাকে খুঁজতে গেলে উল্টো তার পরিবারের লোকজন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।