ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার পরবর্তী সময় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোজায় গরম একটু বেশিই জানান দিচ্ছে। এ গরমে অফিস ও কাজকর্ম সেরে অনেক রোজাদার ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তৃষ্ণা মেটাতে ইফতারে নানা ধরনের শরবত ও কোমল পানীয় পান করে। আবার অনেকে ইফতারে ডাবের পানি পান করে।
এ রমজানে মৌলভীবাজারে প্রচণ্ড তাপদাহে বিভিন্ন শরবত ও কোমল পানীয়র পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ডাবের। কারণ, অন্যান্য পানীয়র তুলনায় ডাবের পানি শতভাগ নিরাপদ। তাই দুপুর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত সহজলভ্য এই পানীয় কিনে নিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
চিকিৎসকের মতে, ডাবের পানি খুবই নিরাপদ। শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এ পানি পান করলে আমাশয় ও জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের ফুটপাতে, বিভিন্ন পয়েন্টে ও জনবহুল স্থানে ডাব এবং শরবত ও কোমল পানীয়র পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। রমজানের আগে এসব দোকানে মানুষ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডাবসহ লেবুর শরবত ও আখের রস খাওয়ার জন্য ভীড় করতো। কেউ কেউ বোতলে করে ডাবের পানি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।
ডাব বিক্রেতা আনোয়ার বার্তা২৪.কমকে জানান, গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে তবে ডাবের উৎপাদন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবারের দাম একটু বেশি। বড় ও মাঝারি আকারের একটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা। তবে নিম্ন মধ্যবিত্তের চাইতে বৃত্তবান ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশি।’
ডাব ক্রেতা মো. প্রিন্স বার্তা২৪.কমকে জানান, দাম বেশি হলেও অনেকটা নিরাপদ জেনে ডাব কিনছেন। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময় ডাবের পানি পান করলে শরীরের অসস্তি দূর হবে আর শরীরের জন্যও উপকারী হবে।
সিলেটের বিভাগীয় সাবেক স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হরিপদ রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরে অনেক ঘাম বের হয়। তাতে পানি শূন্যতার অভাব দূর করতে পানীয় খাবার খুব জরুরি। বিশেষ করে সারাদিন যারা রোজা রাখে তাদের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে, পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে ডাবের পানিসহ শরবত জাতীয় পানীয় খাবার খুব কার্যকর। ডাবের পানি শরীরের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।’