স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জেলা পরিষদের কৈডাঙ্গা খালটি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া এবং প্রভাবশালীদের দখলের কারণে আজ খালটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা বলছে, খালটিকে দখলমুক্ত ও পুনঃখনন না করলে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব দ্রুতই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি সংস্কার করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৈডাঙ্গা খালের দু’পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ পাকা স্থাপনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে খালটির দু’পাশ। খালের মধ্যেই পিলার দিয়ে তৈরি করেছে দোকান-ঘর। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে দখল করে নিয়ে তারা ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে শৈত পাচুরিয়া ও সৈয়দ পাচুরিয়া বাজারে অবৈধভাবে দখল করে পাকা দোকান ও স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী দখলদাররা। তবে দীর্ঘদিন দখল করে থাকলেও এ বিষয়টি জানেন না রাজবাড়ী জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
শৈত পাচুরিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুস সালাম পাটোয়ারী (৭০) বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এক সময় ১০টি গ্রামের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য এই খালটি ব্যবহার করত। নৌকায় রাজবাড়ী শহরসহ বানীবহ ও মাটিপাড়া বাজারে কৃষি পণ্যগুলো বিক্রি করা হতো। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে দখলদারদের কারণে খালটি আজ তার পুরোনো জৌলুশ হারাতে বসেছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করা হোক।’
শৈত পাচুরিয়ায় খাল দখল করা দোকানদার ইমরান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনেই জেলা পরিষদ বরাবর লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
লিজের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র আবেদন করেছি। জেলা পরিষদ থেকে আমাকে বলেছে লিজের কাগজ পেতে দুই-এক মাস সময় লাগবে।’
যেহেতু এখনো লিজের কাগজ হাতে পাননি, তাহলে আগেই কেন পাকা স্থাপনা তৈরি করলেন এমন প্রশ্নে তিনি এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফকির আব্দুর জব্বার বার্তা২৪.কমকে জানান, কোনো ভাবেই খাল দখল করে রাখা যাবে না। দখলদাররা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, খুব দ্রুতই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান চালানো হবে। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি পুনঃখননের কাজ শুরু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখবেন।