মানিকগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলনে চাষির মুখে হাসি

মানিকগঞ্জ, দেশের খবর

খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ | 2023-08-30 19:48:13

একে তো রমজান মাস, তার ওপর প্রচণ্ড গরম। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাজারে বাঙ্গির ব্যাপক চাহিদা। অনুকূল আবহাওয়ায় মানিকগঞ্জে এ বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরাও।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাতেই কম বেশি আবাদ হয় বাঙ্গি। তবে জেলার হরিরামপুর, সিংগাইর,শিবালয় এবং ঘিওর উপজেলায় বাঙ্গির চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় চাষিদের মধ্যে বাঙ্গি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

বাঙ্গি চাষিরা জানিয়েছেন, ভিন্ন ফসলের সাথে যৌথভাবে বাঙ্গি চাষা করা যায়, তাই  বাড়তি কোনো খরচ নেই। বিশেষকরে পেঁয়াজের সাথে বাঙ্গি চাষ বেশি সুবিধাজনক। ফলে পেঁয়াজের ফলন ঘরে তোলার এক মাস পরে বাঙ্গির ফলনপাওয়া যায়। মাত্র ৫০-১০০ টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকার ফলন পাওয়া যায়।

জেলার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুড়ি ইউনিয়নের শোলধরা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে হালি পেঁয়াজের সাথে বাঙ্গি চাষ করেছি। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো খরচ করতে হয়নি।তবে পেঁয়াজ চাষের জন্য সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২ হাজার টাকার পেঁয়াজ এবং ১৩-১৪ হাজারটাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ১০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করা সম্ভব হবে।’

একই এলাকার ফিরোজ তালুকদার নামে এক কৃষক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ভিন্ন ফসলের সাথে বাঙ্গি চাষাবাদকরায় বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। তবে বাঙ্গির ফলন শুরু হলে প্রতিদিন জমি থেকে বাঙ্গি সংগ্রহ করতেহয়। সময়মতো জমি থেকে বাঙ্গি সংগ্রহ না করলে জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতেমাত্র ১০০ টাকা খরচ করে ২৫-৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করা যায়।’

বরংগাইল এলাকার বাঙ্গি চাষি হুমায়ন মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে বাঙ্গির বেশ চাহিদা রয়েছে।এছাড়া রমাজানের কয়েক দিন আগে থেকেই পাইকাররা জমি থেকেই বাঙ্গি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমেঅনুকূল আবহাওয়া আর ভালো বাজারদর থাকায় সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি।’

মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পেঁয়াজসহঅন্যান্য ফসলের সাথে সাথী ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ হয় বেশি। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় বাঙ্গি চাষেআগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের মাঝে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর