লক্ষ্মীপুরে প্রেম করে বিয়ের দুই মাসের মাথায় স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূ সাবরিনা আক্তারকে (১৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে সদর উপজেলার উত্তর টুমচর গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার শাখাড়িপাড়া এলাকার হোসেন আহম্মদের মেয়ে। সে লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, উপজেলার উত্তর টুমচর গ্রামের মানিক ব্যাপারী বাড়ির আমির হোসেনের ছেলে রনির সঙ্গে সাবরিনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে তারা বিয়ে করে।
নিহতের বড় বোন রুনা আক্তার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাবরিনার লাশটি ঘরে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার স্বামী ও শাশুড়ি কেউই বাড়িতে ছিল না। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তার বোনকে মারধর করত রনি। কয়েকবার মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত রনি তাকে মেরেই ফেলেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।