নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করতে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিল্ড বুক তৈরির কাজ শুরু করেছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আশপাশের চারটি এলাকায় ফিল্ড বুক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনুর আলম, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার।
তাদের তিনজনের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুরের পশ্চিমপাড়া, বাঙ্গালীপুর, বানিয়াপাড়া ও বাড়াইশালপাড়া সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন তারা অধিগ্রহণকৃত জমিতে কী কী অবকাঠামো রয়েছে এবং এর স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা নিতে ফিল্ড বুক তৈরি করছে। এতে স্থানীয় জনগণ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ স্বাক্ষর থাকবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণের আওতায় আমাদের পৈতৃক ভিটাও পড়েছে। ফলে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না। তবুও এলাকার উন্নয়নে জমি দিতে পেরে আমি আনন্দিত।'
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার ঘোষণা দেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। গত এক সপ্তাহ ধরে ফিল্ডবুকের কাজ চলছে।’
উল্লেখ্য, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৯১২ একর জমির আওতায় অধিগ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে সৈয়দপুর উপজেলায় ৫৩৫ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি, সরকারি জমি ৬০ একর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৯ একর, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬ একর, সৈয়দপুর সেনানিবাসের প্রায় ১৪ একর ও খাস জমি ১৩ একর। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের ৩১৭ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে।