খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ন্যায্য মূল্য ও শ্রমিক না পাওয়ার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে এক কৃষকের ধান ক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনা পরিকল্পিত। সন্তান যতই বিকলাঙ্গ হোক না কেন, পিতা তার সন্তানকে গলাটিপে মেরে ফেলতে পারবে না। ধানের দাম ২০০ টাকা হলেও কৃষক পোড়াবে না। মনে ক্ষোভ থাকতে পরে। ওই ঘটনা সরকারকে পর্যুদস্ত করার একটা পরিকল্পনা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রান্তিক কৃষক এবং মিলারদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ও চাল ক্রয়ের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ছাড়া একটি কেজি ধানও বাইরে থেকে কিনতে দেব না। কারণ সরকারকে পর্যুদস্ত করার জন্য নানাভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। আমিও একজন কৃষক, ধান বিক্রি করি। আমারও কষ্ট আছে। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেছি। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান না কেনা পর্যন্ত কৃষকদেরকে ঠিক মতো মূল্যায়ন করা যাবে না।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে প্রান্তিক কৃষক এবং মিলারদের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয়ের যে বরাদ্দ দিয়েছি, তা যেন দ্রুত করা হয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য যে সব এলাকায় বোরো ধান বেশি উৎপাদন হয়, সেসব এলাকায় প্যাডিক সাইস্লো ডাই মেশিং এবং ফ্যানি মেশিং দেওয়া হবে। এতে অন্তত ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান যেন কেনা যাবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ছাড়া একটি কেজি ধানও বাইরে থেকে কিনতে দেব না। কারণ সরকারকে পর্যুদস্ত করার জন্য নানাভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। আমিও একজন কৃষক, ধান বিক্রি করি। আমারও কষ্ট আছে। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করেছি। প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান না কেনা পর্যন্ত কৃষকদেরকে ঠিক মতো মূল্যায়ন করা যাবে না।
তিনি বলেন, এ সরকার কৃষক বাঁচানোর সরকার। কৃষক মারার সরকার নয়। প্রান্তিক ও প্রকৃত কৃষক ছাড়া কোনো মিলার বা ঠিকাদারের কাছ থেকে এক ছটাক ধান ও চাল সংগ্রহ করা হবে না। সরকারি দলের লোকজনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ঝামেলা হবে না। বরং কৃষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিশ্চিত করতে তারা প্রতিনিয়ত পাহারা দেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব করেন। এতে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার উদ্দিন শামীম, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম হোসেন আলী হাসান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব, কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সিরাজগঞ্জে পাঁচ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন ধান, ২২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন বোরো চাল, আতপ চাল পাঁচ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন এবং দুই হাজার ২৫১ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হবে। সরকারিভাবে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৬ টাকা, চাল ৩৬ টাকা, আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজি।