ধু-ধু মরুভূমির পদ্মার বুকে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। ফলনশীল অর্থকরী এই ফসলের সাফল্যে অনেকেই কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সম্প্রতি পাঁকা ইউনিয়নের পদ্মার চর বাবপুর বিশ্বাস পাড়া (সাবেক) ১নং বাঁধের কাছে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। তবে সময়মত পানি পেলে আরও কলার আবাদ বাড়বে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
বাবুপুর এলাকার কলাচাষি হাবিবুর রহমান। কলেজে ভর্তি হয়ে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে আর কলেজে যাওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যদের কথায় পড়াশোনা বাদ দিয়ে মনযোগ দেন কলা চাষে। নিজের জমি না থাকায় অন্যের এক বিঘা জমি ৮ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে কলা চাষ শুরু করেন।
ওই জমিতে মোট ৪০ হাজার টাকা খরচ করে কলা বিক্রি করেন প্রায় লাখ টাকার। প্রায় ৬ মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় হওয়ায় পাশে আরও তিন বিঘায় জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করেন। সেখানেও কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কলাগুলো উন্নত জাতের হওয়ায় কম সময়ের মধ্যে বড় ও মোটা হয়। ফলে দামও ভাল পাচ্ছেন। রোজার মাস হওয়ায় কলা বিক্রিতে অনেক দাম পাওয়া যাচ্ছে।
হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, তার জমিতে কলার ফলন ভালো হওয়ায় পাশেই জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করছি ভোদন, সাকিম, সাইদুলসহ ছয় বন্ধু। তাদের জমিতেও কলার বাম্পার ফলন হয়েছে।
তার দাবি, পদ্মায় যদি সব সময় পানি পাওয়া যায়, তবে সব ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মার মাটিতে সব ফসল ফলানো সম্ভব। সেখানে পানির কিছুটা সমস্যা রয়েছে। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে চাষিদের পানির সমস্যা নিরসনের।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শিবগঞ্জ উপজেলায় মোট ১২০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে, দুর্লভপুর, শ্যামপুর, বিনোদপুর, মনাকষা, পাঁকা ও উজিপুর ইউনিয়নে।