চায়ের আড্ডায় একসময় গ্রামের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল বেলা বিস্কুট। কালের বিবর্তনে সেটি এখন বিলুপ্তির পথে। মানুষের রুচির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন ঘটেছে চাহিদার। আবার এ বিস্কুটের আকৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে, বেড়েছে দামও।
খুব বেশি দিন অতিক্রম হয়নি যখন লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাঝে ফসলের মাঠ থেকে উঠে এক-দুই পিস বেলা বিস্কুট আর পানি খেয়ে নাস্তার কাজ সম্পন্ন করতেন। আবার মাঝে মাঝে অনেকে এটি দুপুরের খাবার হিসেবে চালিয়েছেন।
পান্তা ভাত গ্রামের মানুষের বেশি প্রিয় হলেও সকাল বেলায় শিশুদের প্রিয় খাবার ছিল বেলা বিস্কুট। কালের বিবর্তনে এখন আর শিশুদের প্রিয় খাবারের তালিকায় এটি দেখা যাচ্ছে না। তবে এখনো গ্রামের ছোট ছোট দোকানগুলোতে বেলা বিস্কুট আর চায়ের আড্ডায় মেতে উঠেন কৃষকরা। তাদের দীর্ঘক্ষণ সময় কাটানোর অভ্যাসে এটি এখনো স্থান দখল করে আছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ সময় মফস্বল শহরে গোলাকার এই বিস্কুটটির ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু গত ১০ বছর থেকে এর চাহিদা কমতে শুরু করেছে। কমে গেছে প্রায় ৮০ শতাংশ চাহিদা। চাহিদা বেশি হওয়ায় মফস্বল শহরের প্রায় অর্ধশতাধিক বেকারিতে এটি তৈরি করা হত। কিন্তু এখন খুঁজতে গেলে পাঁচ থেকে ছয়টি বেকারিত এর দেখা মিলবে। তবে কৃষকদের কাছে এই বিস্কুটের চাহিদা থাকায় মফস্বল শহরের বাইরের বেকারিগুলোতে এখনো পাওয়া যাচ্ছে। দাম বেড়ে ২৫ পয়সা থেকে দুই টাকা হলেও এটি এখনো তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সুলতানিয়া বেকারির স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রায় ৩৫ বছর তার বেকারির বয়স। শুরু থেকে প্রায় ২৫ বছর বেলা বিস্কুটের চাহিদা অনেক বেশি ছিল। জেলার প্রত্যেক বেকারিতে এই বিস্কুটটি তৈরি করা হত। চাহিদা কম হওয়ায় এখন অল্প কিছু বেকারিতে এটি তৈরি অব্যাহত আছে। তবে সাইজ থেকে শুরু করে দাম পর্যন্ত অনেক পরিবর্তন এসেছে।