লক্ষ্মীপুরের বাজারে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকায়। কিন্তু এই ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রায় ৮০০ টাকা। এতে ন্যায্য মূল্য পাবে না যেনে লক্ষ্মীপুরের কৃষক আজাদ উদ্দিন পাকা ধান কাটেননি। এমনকি কাটার কোনো পদক্ষেপও নেননি।
অবশেষে বিষয়টি জানতে পেরে রোববার (১৯ মে) তার ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দিয়েছে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, আজাদ উদ্দিন সদরের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের বাসিন্দা। চলতি বছর ওই এলাকায় দুই একর জমিতে তিনি ইরি ধান আবাদ করেছেন। এতে তার প্রায় ৭২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সবগুলো টাকাই ধার-দেনা করে নেওয়া।
তবে এবার তার আবাদি জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার ধানে চিটাও কম। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। এ কারণে ধান পাকলেও গত কয়েকদিন থেকে তিনি কাটার উদ্যোগ নেননি। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা যুবলীগের নির্দেশনায় ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির নেতাকর্মীরা।
ধান কাটায় অংশ নেন ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রাসেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোছলেহ উদ্দিন সুমন, হারুন, আহসান ও মিজান প্রমুখ।
কৃষক আজাদ উদ্দিন জানান, ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি দিতে গিয়ে তাকে আবার ধারদেনা করতে হতো। এতে খরচ আরও বেড়ে যেত। তাই তিনি ধান কাটেননি। এখন যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে দেওয়ায় খরচ কমে গেছে। এতে তিনি খুশিও হয়েছেন।
যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রাসেল বলেন, ‘এবার লক্ষ্মীপুরে ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকরা। এতে হতাশায় পড়েছে তারা। কৃষক আজাদ উদ্দিন টাকার অভাবে ধান কাটতে পারছে না। এটি জানতে পেরে আমরা ধান কেটে দিয়েছি। এলাকার মানুষের দুঃখ-কষ্টে তাদের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য।’