শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা। ঢাকার কমলাপুর হতে ট্রেনযোগে রাজশাহী ফিরতে টিকিট কাউন্টারে হাজির চাঁপাইনবাবগঞ্জের আফজাল হোসেন ও রাজশাহীর কামাল উদ্দীন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেসের ‘জ’ বগির দুটি টিকিট ম্যানেজ করলেন।
সময়সূচি অনুযায়ী রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল রাত ১১টা ১০ মিনিটে। স্টেশনের এক কোনেই বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন আফজাল হোসেন ও কামাল উদ্দীন নামের দুই যাত্রী।
শুধু তারাই নয়। পদ্মা এক্সপ্রেসে যারা টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন সকলেই অপেক্ষারত। সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু ট্রেন ছাড়েনা। প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
যাত্রীরা ট্রেনে উঠেই দেখতে পান প্রায় সবগুলো সিটের নিচে ও আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আবর্জনা। খাবারের উচ্ছিষ্ট, কলার খোসা, চায়ের কাপ, নাস্তার বাটিসহ অসংখ্য ময়লার ভাগাড় পড়ে রয়েছে।
সেই ময়লার দুর্গন্ধের ভেতর যোগ হয়েছে মশা। মশার যন্ত্রণায় কোন যাত্রীই স্থির হয়ে বসে থাকতে পারছিলেন না। অপর দিকে প্রচণ্ড গরম ও দেড়ি করে ট্রেন ছাড়ার কারণে প্রায় সব যাত্রী অতিষ্ঠ।
সেই দুই যাত্রী আফজাল হোসেন ও কামাল উদ্দীন ট্রেনের সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা চলতে থাকলে একদিন হুমকির মুখে পড়বে দেশের রেল সার্ভিস।
তারা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন রাতের এই ট্রেনে ঢাকা হতে রাজশাহী যাতায়াত করেছি। কিন্তু বর্তমানে যে দুর্ভোগ পোহাতে হলো- আর হয়তো বা ট্রেনে যাতায়াত করা হবেনা।’
খোঁজ নিয়ে জানাগেল, ট্রেনটি দেড়ি করে স্টেশনে পৌঁছার কারণে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।’