বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর সার্কেল কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে দুদকের নোয়াখালী আঞ্চলিক সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এ অভিযান চালান। এসময় তারা গ্রাহক হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পান।
অভিযানের সময় বিআরটিএ লক্ষ্মীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন তার কার্যালয় দালাল ও হয়রানিমুক্ত করার লিখিত অঙ্গীকার করেন। এছাড়া ওই কার্যালয়ের সহকারী মাহবুবকে সর্তক করে দেওয়া হয়।
দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ।
দুদক সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলা কালেক্টরেট ভবন সংলগ্ন বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় গ্রাহকরা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতা, মোটরযান এনডোর্সমেন্ট, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফেকেট, স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযানের শ্রেণি পরিবর্তন, তথ্য সংশোধন, ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট ও রুট পারমিটের জন্য ঘুষ বাণিজ্য ও দালালদের হয়রানির কথা তুলে ধরেন। পরে কর্মকর্তারা জেলা স্টেডিয়াম এলাকায় বিআরটিএ’র লাইসেন্স আবেদনকারীদের ব্যবহারিক পরীক্ষাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে লক্ষ্মীপুরে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় গ্রাহক হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক কার্যালয়টি দালালমুক্ত করার লিখিত অঙ্গীকার করেছেন। অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।