অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ধজনগর এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ১০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকালে ধজনগর এলাকার সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ১০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়া হয় তাদের। এদের মধ্যে দুই জন পুরুষ, দুই জন মহিলা ও ছয় জন শিশু রয়েছে। আবারো যেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশইন করা না হয় সেজন্য সীমান্তে টহল জোরদার ও অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফ সদস্যরা বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত সীমান্তের পকেট গেট দিয়ে ১০ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দিলে তারা সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান নেন।
পরে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএসএফ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের বলে দাবি করে। পরে বিকালে তারা ১০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিজিবি কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা ২০১৬ সাল থেকে ভারতে অবস্থান করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফ সদস্যরা এ রোহিঙ্গাদের কসবা উপজেলার ধজনগর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি পকেট গেট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে চলে আসতে বলেন। পরে তারা এগিয়ে আসতে চাইলে তা বিজিবির নজরে আসে।
বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইকবাল হোসেন জানান, বিএসএফ ও বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। বিষয়টি বিএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কতৃপর্ক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে তারা ১০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়েছেন। তবে আবারো যেন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পুশইন করা না হয়, সেজন্য বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ৩১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে কসবা উপজেলার কাজিয়াতলী সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। বিজিবির সর্তক অবস্থানের কারণে প্রথমে তাদের ফেরত না নেওয়ার কথা জানালেও দুই দিন পর শূন্য রেখা থেকে তাদেরকে ভারতে ফিরিয়ে নেয় বিএসএফ।