নখের আঁচড়ে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

সাতক্ষীরা, দেশের খবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সাতক্ষীরা | 2023-08-21 20:55:27

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর থেকে শ্মশানঘাট সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু এরই মধ্যে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করায় নখের আঁচড়ে উঠে যাচ্ছে পিচ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংস্কারের সময় পিচের পরিমাণ কম হওয়া এবং অতিরিক্ত কেরোসিন ও পোড়া মবিল ব্যবহার করায় রাস্তার এ অবস্থা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, সড়কটি সংস্কারে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসী দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেছেন। ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাদীপুর মাদরাসা থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত ৯৭৫ মিটার এবং সখিপুর আরএন্ডএইচ থেকে কেয়ার রোড পর্যন্ত ৬৮৫ মিটার রাস্তা পিচ করতে মোট ৫৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের দায়িত্ব পায় দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের আবুল কালামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহা এন্টারপ্রাইজ।

সম্প্রতি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তা দুটির কাজ শুরু করে। দরপত্র অনুযায়ী কাজ শুরু হওয়ার কথা চলতি বছরের ১১ এপ্রিল এবং শেষ হওয়ার কথা ২ জুলাই।

অভিযোগ আছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে। বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবুল কালামকে জানানো হলেও তিনি তা আমলে নেননি। উল্টো স্থানীয় এলজিইডি কর্মকার্তাদের ম্যানেজ করে কাজ অব্যাহত রাখেন। পরে স্থানীয়রা ইউএনওকে বিষয়টি জানালে তিনি এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম ও জেলা এলজিইডির প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন।

পরে জেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অদৃশ্য ক্ষমতাবলে রাস্তার কাজ অব্যাহত রাখে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয়দের নখের আঁচড়ে রাস্তার পিচ উঠে আসছে। এ সময় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার আবুল কালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে যথাযথভাবে রাস্তা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।’

জানতে চাইলে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকবাল হোসেন কাজে অনিয়ম পাওয়ার কথা স্বীকার করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এ বিষয়ে এলজিইডির সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর