হবিগঞ্জের বাহুবলে ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত সাধারণ পরিষদকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড), বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, বাহুবল কলেজের অধ্যক্ষসহ এডহক কমিটির সাতজনকে বিবাদীভুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. জসিম উদ্দিন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় বাহুবল সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মামলাটি দায়ের করেন ক্রীড়াবিদ মামুনুর রশীদ মামুন, শফিক মিয়া ও মাহফুজ আলম চৌধুরী।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক ও ইউএনও মো. জসীম উদ্দিনের স্বাক্ষরে প্রকাশিত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ২১ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদ বাতিলের দাবিতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে- উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ২০১৪ সনে প্রকাশিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার গঠতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়ে আসছে। বাহুবল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান এডহক কমিটির আহ্বায়ক গত ২১ মে উল্লেখিত গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন ধারা, উপ-ধারার বিধি-বিধান না মেনেই সাধারণ পরিষদের তালিকা প্রকাশ করেন। এতে স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের বাদ দিয়ে অক্রীড়াবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন ক্রীড়াবিদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বাহুবল ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন, উপজেলা ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) রফিকুল ইসলাম, বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হোসেন শাহ্, বাহুবল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল রউফ, সাংবাদিক সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও ফয়সল আহমেদকে বিবাদীভুক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই এডহক কমিটিতে দায়িত্বরত।
এ ব্যাপারে বাহুবল ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যারা এডহক কমিটিতে ছিলাম তারা স্বচ্ছভাবে ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করেছি। এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক অবগত আছেন। কমিটিতে সবাইকে স্থান দেওয়া সম্ভব হয় না। যারা স্থান পাওয়ার যোগ্য নন এবং স্থান পাননি, তারাই মূলত এই মামলা দায়ের করেছেন।’